অজানা জন্তুর আতঙ্ক কোন্নগরের কানাইপুর এলাকায়

20th January 2020 হুগলী
অজানা জন্তুর আতঙ্ক কোন্নগরের কানাইপুর এলাকায়


 

হুগলি উত্তরপাড়া থানার অন্তর্গত কোন্নগর কানাইপুরের এক অজানা জন্তুুর  পায়ের ছাপ  দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা তারপরেই আতঙ্ক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার সকালে কোন্নগরে একটি স্টিলের  কারখানার সিসি টিভিতে  ধরা পড়ে  বাঘের মতো দেখতে একটি জন্তুুর ছবি  । স্থানীয় সূএে খবর কয়েক দিন ধরে বাসিন্দারা অজানা জন্তুুর ডাকের আওয়াজ পাচ্ছিলেন। এই ছবি কথা প্রচার হতেই  বাঘ বেড়িয়েছে এলাকায় প্রচার হয়ে যায়। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে  পরে কোন্ননগর এলাকা জুরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ও বন দপ্তরের কর্মীরা।তার সিসিটিভির ফুটেজ দেখেন। 
হুগলী জেলার কোন্নগরের কানাইপুর গ্রাম থেকে হাইওয়ে কিছুটা দূরে পঞ্চায়েত এলাকা।রয়েছে পুকুর, ঘন জঙ্গল  এবং  বাঁশঝাড়। 
এই সব জায়গায় মাঝে মধ্যে  দেখা যায় শেয়াল।রয়েছে  ভামবেড়ালেরও মতো নানা রকম জন্তুু।  সোমবার ভোররাতে এলাকার একটি আলমারি কারখানার সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়। ।  দাঁড়িয়ে থাকা একটি ম্যাটাডোরের পাশ দিয়ে এগিয়ে চলেছে বাঘের মতো  দীর্ঘ লেজ নেড়ে।
 বাঘের সন্ধানে হাতে লাঠি হাতে বেরিয়েছেন আতঙ্কিত মানুষ। তবে এই বিষয়ে কোন্ননগর 
পঞ্চায়েতের প্রধান আচ্ছালাল যাদব  বলেন ছবি দেখে তার মনে হচ্ছে এটা বাঘ নয় এটা এক ধরনের বাগরোল যেহেতু অনেক বড় দেখতে সেই কারণে সাধারণ মানুষ মনে করছে এটি বাঘ। এই জায়গাতে বাঘ  থাকার কোন সম্ভাবনা নেই।  বনদপ্তর এবং পুলিশ বিষটি দেখছেন,  সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত হবার কোনো কারণ  নেই।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।